
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শফিকুল আলম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'বৈঠকে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।'
বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, 'যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো মোকাবিলা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আজকের বৈঠকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।'
'রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন আরও ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে, সামনের নির্বাচনকে ঘিরে কোথাও যেন উত্তেজনা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে,' যোগ করেন প্রেস সচিব।
গত শুক্রবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে 'নুরাল পাগলা'র দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর এবং কবর থেকে মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, 'ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মরদেহ উত্তোলনকারীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।'
আসন্ন দুর্গাপূজাকে ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টা আগে থেকেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান শফিকুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
প্রেস সচিব বলেন, 'পতিত, পরাজিত, ফ্যাসিবাদী শক্তি যখনই দেখছে দেশ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে এবং জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞের বিচার হচ্ছে, ততই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।'
'এটি এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নয়, এটি একটি "জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু" হয়ে দাঁড়িয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, 'পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই এই নির্বাচনকে ঠেকাতে পারে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হবেই।'
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, 'পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই এই নির্বাচনকে ঠেকাতে পারে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হবেই।'
এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি জানান, দুটি কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে এবং বদলি ও সাময়িক বরখাস্তের আদেশগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তবে গ্রাহকসেবা ব্যাহত হলে সরকার কঠোর হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।